শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

অরিত্রীর দুই শিক্ষিকার বিচার শুরু

অরিত্রীর দুই শিক্ষিকার বিচার শুরু

স্বদেশ ডেস্ক: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৪) আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখার প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ চার্জগঠনের আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আসামিরা অভিযোগ অস্বীকার করে বিচার প্রার্থনা করায় বিচারক আগামী ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করেন।

আসামিরা জামিনে রয়েছেন। তারা গত ১৪ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। মামলার অপর আসামি শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে চার্জশিটে অব্যাহতি দেয়া হয়। যিনি গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে ৪ দিন কারাভোগের পর জামিন পান।

এর আগে গত ২৫ মার্চ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। যা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী অরিত্রীর কাছ থেকে নিয়ে নেন এবং পরদিন তার বাবা-মাকেসহ স্কুলে আসতে বলেন।

সে অনুযায়ী অরিত্রী পরদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দিবেন বলে জানান।

তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে অরিত্রী আসামি নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথাবার্তা ও ক্ষমা প্রার্থনায় কর্ণপাত না করে তিনিও টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান।

এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথাকাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যায় এবং আসামি নাজনীন ও জিন্নাত আক্তারদের নির্মম আচরণের কারণে সিলিং ফ্যানের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

উল্লেখ্য, অরিত্রী অধিকারী (১৪) নাবালক (শিশু) হওয়ায় মামলার চার্জশিটটি দণ্ডবিধির দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই ধারায় কোনো শিশুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877